নবজাতকের মৃত্যুর পর ডেলটা হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা আশিকুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার আশিকুল ইসলামের স্ত্রী ইরিনকে সিজার অপারেশনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডেলটা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ইরিন। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই জানানো হয় শিশুটি মারা গেছে।
নবজাতকের বাবা আশিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভর্তি ফরমে স্বাক্ষরের কথা বলে আমাকে একাধিক খালি কাগজে সই করানো হয়। অপারেশনের আগে বলা হয় বাচ্চার অবস্থা ভালো, কিন্তু পরে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথাবার্তা ঘুরিয়ে ফেলে। তারা জানায়, বাচ্চার হার্টবিট কম ছিল এবং পেটে থাকতেই মলমূত্র খেয়ে ফেলেছে। অথচ আগে থেকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি, কিংবা আমাদের কিছু জানানোও হয়নি। আগেই জানলে আমরা আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালে নিতাম।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বাচ্চা মারা যাওয়ার পরপরই চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সরে পড়ে। তারা কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই পালিয়ে যায়। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আগে জানতাম না, এখনই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এরইমধ্যে লোক পাঠানো হয়েছে, পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার পর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রতন পারভেজ ডেলটা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তবে তিনি গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কাউকেই পাননি।
ডেলটা হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্যদের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।





