ভিডিওতে দেখা যায়, খানপুর জোড়া পানি ট্যাংকির ভেতরে ছয়জন যুবক মিলে প্রহরী আবু হানিফের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে। পাশে একটি শিশুও দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাণভিক্ষা চাইলেও হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাননি হানিফ। একপর্যায়ে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
নিহত আবু হানিফ বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে তিনি খানপুরের জিতু ভিলায় নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কয়েকজন যুবক হানিফকে তার বাসা থেকে ধরে খানপুর জোড়া পানি ট্যাংকির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্মমভাবে ইট দিয়ে পেটানো হয়। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে বাহার (৩৬), সাইদুল ইসলাম (২৫), মুশফিকুর রহমান (২৯) ও অপু (২৫) রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোর্শেদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকা থেকে অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মামলার নয় নম্বর আসামি ও খানপুর এলাকার হিরা মিয়ার ছেলে। তাকে কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের ভগ্নিপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘দুপুরে কয়েকজন যুবক আমার শ্যালককে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা পরে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, সে আর বেঁচে নেই। আমি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ হাসিনুজ্জামান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও বিশ্লেষণ করে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও জানান, নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিশোরীকে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।





