মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার আট বছরের শিশু আছিয়ার ঘটনায় উত্তাল হয় সারাদেশ। ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে জেলায় জেলায় মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।
গেল মাসের ৬ তারিখ মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের কাছে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া।
উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশু আছিয়াকে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মৃত্যু হয় তার।
আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দাবি ওঠে আইন পরিবর্তনের। এরপরই দ্রুত বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নেয়। ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন, শিশু ধর্ষণ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্তসহ ২০ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে বিচারের আশ্বাস দেয়া হয়।
আরো পড়ুন:
আজ (বুধবার, ২৩ এপ্রিল) সকালে মাগুরা শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে হিটু শেখকে।
এছাড়া বোনের স্বামী সজিব শেখ, ভাশুর রাতুল শেখ এবং শাশুড়ি জাহেদা বেগমের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ অভিযোগপত্রের শুনানি হয়।
এই দিন আসামিরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে এর আগে হিটু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার অ্যাড. এহসানুল হক সমাজি বলেন, 'আজকে বিজ্ঞ আদালত প্রসিকিউশন ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে সন্তুষ্ট হয়ে ১নং আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার্জ গঠন করেছেন।'
আগামী ২৭ এপ্রিল শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত।