এখন জনপদে
অপরাধ ও আদালত
0

চট্টগ্রামের খুলশীতে ভুয়া গোয়েন্দা পরিচয়পত্রসহ ১১ ডাকাত আটক

হাতে খেলনা পিস্তল আর সাথে গোয়েন্দা বাহিনীর পরিচয়পত্র নিয়ে চট্টগ্রামে খুলশীর অভিজাত এলাকায় ডাকাতি করতে যায় একটি দল। তবে শেষরক্ষা হয়নি, প্রায় ২ ঘণ্টা ভবনটি ঘিরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাদের ধরতে সক্ষম হয়, সাথে জব্দ হয় একটি মাইক্রোবাসও।

চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা হিসাবে পরিচিত খুলশী। মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশিদের প্রায় সবাই থাকেন এখানে। দক্ষিণ খুলশীর বিশাল এ ভবনকেই বেছে নেয় ডাকাতরা, যেখান থেকে মাস দুয়েক আগেই গ্রেপ্তার করে হয়েছিল নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরামুল করিমকে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে দুটি মাইক্রোবাসে নিয়ে ভবনের সামনে পৌঁছায় ডাকাতদল। এরপর ভুয়া গোয়েন্দা বাহিনীর পরিচয়ে ভবনের ৮ম তলায়, যমুনা অয়েলের সাবেক এক কর্মকর্তার বাসায় ঢোকে প্রায় ১৫ জনের ডাকাত দল। তাদের সাথে ছিল কিছু খেলনা অস্ত্র। এসময় তারা নিচে সিকিউরিটি গার্ডদের হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পুরো ভবনের সিসিটিভি সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাদের আচরণে সন্দেহ হলে খুলশী থানায় ফোন করেন ভবনের বাসিন্দারা। পরে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১১ ডাকাত ও এক চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

যমুনা অয়েল সাবেক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমার বাসা রক্ষা পেয়েছে। আমি একটা মামলা করব। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত করে এটা উদ্ঘাটন করবে।’

গোয়েন্দা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অভিজাত এলাকায় এমন ডাকাতির চেষ্টায় আতঙ্কে আছেন বাসিন্দারা।

পুলিশ জানায় ডাকাত দলের সদস্যরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা, ছোট চাকরি করেন। তবে ধরা পড়াদের আগে কোনো অপরাধে জড়িত হওয়ার প্রমাণ নেই। বাসায় বিপুল অর্থ লুকিয়ে রাখা আছে, এমন ধারণায় গত কয়েক মাস ধরে সংঘটিত হয়ে পরিকল্পনা করেন তারা।

চট্টগ্রাম উপ পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়েছে। মূল সংগঠক হলেন ওয়াজেদ রাহিম যার সঙ্গে ৪-৫ জনের সম্পর্ক রয়েছে, এদেরকে নিয়ে তিনি এই ডাকাতির অনুশীলন করেছে। স্বনামধন্য পেট্রোলিয়াম কোম্পানিতে পদ থাকা, তার বাসায় অনেক টাকা রয়েছে এ ধরনের তথ্যের আলোকেই তারা এ চেষ্টা করেছিল।’

সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে এ ধরনের ভুয়া পরিচয়ে বাসায় ডাকাতি ও তল্লাশির ঘটনা বেড়েছে, তাই সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে বিষয়টি জেনে নেয়ার পরামর্শ পুলিশের।

এএম