অপরাধ ও আদালত
0

অর্থ লোপাটের অভিযোগ: থার্ড টার্মিনালের সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, নকশা পরিবর্তন, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহারসহ অন্তত ৬টি অভিযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সাবেক প্রকল্প পরিচালক একেএম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ (রোববার, ২৯ ডিসেম্বর) দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান।

মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ তুলে আক্তার হোসেন বলেন, ‘ছয়টি ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ হাজার কোটি থেকে ২২ হাজার কোটিতে বাড়ানোসহ অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে অর্থ লোপাটের ঘটনায় এ প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।’

অন্য প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে দুদক তদন্ত করবে বলেও জানান দুদক মহাপরিচালক।

তিনি জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্প পরিচালক এই কাজ করেছেন। এছাড়া সয়েল টেস্ট ও নকশা পরিবর্তনে ৯০০ কোটি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে অযৌক্তিকভাবে ১২ কোটি টাকা তসরুফ করেছেন। এসবের বাইরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন বাণিজ্যসহ সুনির্দিষ্ট ৬টি অভিযোগের কথা বলেন দুদক মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মেগা প্রকল্প থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো— থার্ড টার্মিনালের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

২০২৪ সালের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। এখন বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের আগে টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব নয়। এখনো টার্মিনাল পরিচালনার মাস্টারপ্ল্যান (রূপরেখা) তৈরি হয়নি। আর এরপরই বেরিয়ে আসে একে একে বিভিন্ন দুর্নীতির হালহকিকত।

এএইচ