অপরাধ ও আদালত
0

নিখোঁজের পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার, হত্যাকারী সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুরে নিখোঁজের এক দিন পর বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকারী সন্দেহে হায়দার মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনসিপুর গ্রামে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান জানান, চরনসিপুর গ্রামের জিয়া মোল্লার ৭ বছর বয়সি মেয়ে তাহিয়া ইসলাম মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিখোঁজ হয়। পরে সন্দেহ হলে বুধবার বিকেলে প্রতিবেশি হায়দার মোল্লার ঘর তল্লাশি করে পুলিশ।

এ সময় হায়দার মোল্লার ঘরের বারান্দা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তাহিয়া চরনসিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিখোঁজ শিশুটির পিতা জিয়া মোল্লা জানান, মঙ্গলবার বিকালে অন্য ছেলে মেয়েদের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে, আমরা মাইকিং করছি আজ দিন ভর।

তিনি জানান, বাড়ির পাশের হায়দার মোল্লার চলাফেরা সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ঘর তল্লাশি চালালে বস্তা বন্দি অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।

এদিকে এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে হায়দার মোল্লাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ ও পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইএ