গত সাড়ে ১৫ বছর পুরান ঢাকায় একক আধিপত্য ছিল হাজী সেলিমের পরিবারের। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের পরিবার। যা বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হয় ঢাকার প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার মেজো ছেলে ইরফান সেলিম। এবার ১৩ নভেম্বর রাতে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাজী সেলিমের বড় ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকেও।
বৃহস্পতিবার চকবাজার থানার রাকিব হোসেন হত্যা মামলায় সোলাইমান সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তোলা হয় ঢাকার আদালতে। তবে আদালতে মামলার মূল নথি না থাকায় রিমান্ডের শুনানি হয়নি। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, 'নাজিমউদ্দিন রোডে গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সে আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং তার নেতৃত্বে পুলিশসহ ছাত্রদের উপরে গুলি চালায়। সে গুলিতে মো. রাকিব নিহত হয়। রাকিবের বাবা এই মামলাটি করেন। যেহেতু আজকে মূল নথি ছিল না। নথিটি আমাদের উচ্চ আদালতে ছিল। সেজন্য তার রিমান্ড প্রার্থনায় আজকে সুনানি হয়নি। পরবর্তীতে তার নথিসহ আসামিকে হাজির করে তার রিমান্ডের প্রার্থনার বিষয়টি সুনানি হবে।'
এদিন মিরপুর মডেল থানার শিক্ষার্থী নাহিদুল হত্যা মামলায় আদালতে তোলা হয় সাবেক সংসদ সদস্য আলী আযম মুকুলকে। তাকেও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, 'সংসদ সদস্য হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। যেহেতু তার বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ নেই। সে কারণে তার রিমান্ডের বিষয়টির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এজহারে তার সংশ্লিষ্টতার কোনো কিছু উল্লেখ নেই।'
আদালতে তোলার সময় জয় বাংলা স্লোগান দিতেও দেখা যায় হাজী সেলিম পুত্র সোলায়মান সেলিম ও আলী আযম মুকুলকে।