পুলিশ জানিয়েছে, ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য নজরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য ও একটি স্থানীয় একটি মাছ ধরার বিল (জলমহাল) নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) নজরুল ইসলাম তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে পাটি বাঁধ (মাছ ধরার ফাঁদ) দেয়। এ সময় তাতে বাঁধা প্রদান করে আমিনুল ইসলাম ও তার লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে লুৎফুর রহমান (৬০), কুদ্দুছ মিয়া (৫৫), জয়নাল মিয়া (৩৫), রুবেল মিয়া (৩০), আক্তার হোসেন (২৫), মাখন মিয়া (৩৫), জিলাউর রহমান (৩৭), কামাল মিয়া (৩৫), আউয়াল মিয়া (৩৫), হেলাল মিয়া (৩০), মোশাহিদ মিয়া (৩২), মিজানুর রহমান (২০), জালাল মিয়া (৪০), ইলিয়াছ মিয়া (৫০), মইন উদ্দিন (৩৫), মানিক মিয়া (৫০), সুয়েব আলী (৫০), রনি মিয়া (৩০), খোকন মিয়া (৩০), এখলাছ মিয়া (৪০), ইদু মিয়া (৪০), সালাউদ্দিন (৩০), আমির মিয়া (৩৫), জনি মিয়া (২৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।