শরীয়তপুর জাজিরার মতিসাগর গ্রামের স্বপন খান। অস্ত্র মামলার ভুল তদন্তে আসামী হয়ে করেছেন কারাভোগ, হতে হয়েছে এলাকা ছাড়া। প্রকৃত আসামী না হয়েও দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে মামলার ঘানি টানছে তার পরিবার।
জানা যায়, ২০১২ সালে গুলশান থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় দিনমজুর স্বপন খানকে। ২৬ দিন কারাভোগের পর জামিন পায়। অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে এই মামলায় প্রকৃত আসামী তিনি নন।
আসামী একই উপজেলার হামগাঁ গ্রামের স্বপন খান ওরফে সুমন খান। তবুও মামলা থেকে রেহাই মেলেনি। আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নিঃস্ব হতদরিদ্র পরিবারটি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, নামের মিল থাকায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
প্রকৃত আসামীর খোঁজে তার এলাকায় গিয়ে জানা যায়, স্বপনের নানা অপরাধের কথা। কয়েকটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে জেল খাটছেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাই, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
আদালতে যাচাই-বাছাইয়েও জানা যায় প্রকৃত ঘটনা। এরপরও মামলা থেকে খালাস না দিয়ে জামিন দেয় আদালত। আইনজীবী বলছেন, পুলিশের গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ মামলার যিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা উনি যদি একটু দায়িত্বশীল হতেন তাহলে অবশ্যই তিনি বিষয়টি উদঘাটন করতে পারতেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। যাতে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি এ ধরনের মামলায় হয়রানির শিকার না হন।’
তবে এই মামলার বিষয়ে জাজিরা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।