একইসঙ্গে নিয়মিত আপিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর সাথে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ারও নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত ৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে দু'টি লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
এর পর রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
তিনি বলেন, 'বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজাকে ১০ বছর করেছিল। এটা রাজনীতির ইতিহাসে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই বিরল। আমরা সেই সাজার বিরুদ্ধে দু'টি আপিল করেছিলাম। আপিল দু'টির শুনানি গতকাল করেছি আমরা।'
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন 'সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত আজকে প্রাথমিকভাবে আপিলে এলাউ করেছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং অপারেশন অব দ্যা জাজমেন্ট যেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ থেকে, জুডিশিয়ারির পক্ষ থেকে এবং দুদকের অনুরোধে দেয়া হয়েছিল তা আদালত স্থগিত ঘোষণা করেছেন। '
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দু'টি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।
সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।