অপরাধ ও আদালত
0

ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ (মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবাঐ এলাকার মহিব উল্লাহর ছেলে মনির মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৮ মার্চ রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাঁচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তার মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)।

মধ্যরাতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের চিনে ফেলায় মা ও মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত দাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লিখিত তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন জনের ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়।’

তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামি পক্ষের আইনজীবীসহ তাদের স্বজনরা।

এসএস