তিনি জানান, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর আগে ১৪ আগষ্ট রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে ফোনালাপের পরে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল, সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর কবিরকে তার আমতলা পাড়ের নিজ বাসা থেকে আটক করে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, ১২ আগষ্ট বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ফোনে নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিররে নেতৃত্বে ১০ আগষ্ট বরগুনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বাসায় নেতাকর্মীরা সমাবেত হয়ে আর একটি পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে উৎখাতে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা সদর থানায় পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলায় বরগুনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।