পঞ্চগড় পৌরবাসীর ভোগান্তি দূরে নওশাদ জমিরের উদ্যোগ

পঞ্চগড় পৌরসভার অন্তত ৯টি ওয়ার্ডে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছেন নওশাদ জমির
পঞ্চগড় পৌরসভার অন্তত ৯টি ওয়ার্ডে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছেন নওশাদ জমির | ছবি: এখন টিভি
1

‘হামরা থাকি নদীর পাড়ত। কাহো হামার খোঁজ লেয় না। পৌরসভার বাতিলা জ্বলে না। আন্ধারত রহেচু। বুড়া মানসিলা আস্তা উঠিতে নাম্ভিতে পড়েছে। এলা ব্যারিস্টারের বেটা হামার বাড়ির সামনত একখান সোলার নাইট দিছে। খুব উপকার হইছে বা। এলা আশপাশ ফকফকা দেখা যাছে।’— স্থানীয় ভাষায় এভাবেই বলছিলেন পঞ্চগড় পৌরসভার তুলারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ ফাতেমা বেগম।

শুধু এ এলাকাতেই নয়, পঞ্চগড় পৌরসভার অন্তত ৯টি ওয়ার্ডের অন্ধকার এলাকায় আলোর ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক স্পিকার ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজ জেলা পঞ্চগড়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নওশাদ জমির পঞ্চগড় পৌরসভায় ৭৬টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করেছেন। তার এ কর্মসূচি এরই মধ্যে সীমান্ত জনপদে সাড়া ফেলেছে। অলিগলি ও অবহেলিত এলাকায় আলো ছড়াচ্ছে তার এই সোলার স্ট্রিট লাইট। সোলার লাইট পেয়ে খুশি পৌরবাসী।

আরও পড়ুন:

পঞ্চগড় পৌরসভার রাজনগর খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান টুনু বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পৌরসভার বাতি নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু ঠিক করার কোন নাম নেই। চলাফেরা করতে খু্ব অসুবিধা হয়। এই সোলার লাইট দেয়ায় আমাদের জন্য খুব উপকার হলো।’

ওই এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাত হলেই আমাদের পথটুকু অন্ধকার হয়ে যায়। নারী ও শিশুরা চলাফেরা করতে ভয় পায়। নওশাদ জমির খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা চাই তিনি এভাবেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যান।’

এ বিষয়ে নওশাদ জমির বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে পঞ্চগড় পৌরসভার উন্নয়নে আমরা মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোয় সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভাসহ পঞ্চগড়ের উন্নয়নে সব সময় পাশে থাকতে চাই।’

এসএইচ