জামালপুরে সেতু নির্মাণ ঘিরে জটিলতা; নকশা পরিবর্তনের ক্ষোভ স্থানীয়দের

নির্মাণাধীন সেতু | ছবি: এখন টিভি
0

জামালপুরে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকায় সেতু নির্মাণে নানা জটিলতা। নকশা অনুযায়ী সেতুর গার্ডার নির্মাণের পর সেগুলো ভেঙে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতা কমানো হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নিচু হলে বন্যার পানি প্রবাহ ও নৌকা চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে নকশা।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেনুয়ার চর এলাকার দশআনি নদী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৮০ মিটার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এখানে। মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পায় নির্মাণকাজ। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কাজও হয়নি।

অপরদিকে এ বছরের এপ্রিলে নকশা পরিবর্তনের কারণে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে পিলার। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নিচু হলে বন্যায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে আশপাশের বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে নদী ভাঙন হতে পারে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে নৌকা চলাচলেও।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ বছর বন্যা হয়নি। আগামী বছর যদি বন্যা হয় তাহলে নদীর পার ভেঙে তাদের দু’গ্রামের মানুষদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বর্তমানে তাদের রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও তাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

আরও পড়ুন:

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার পলাতক থাকায় জটিলতা বেড়েছে বলে জানায় নির্মাণ কাজে জড়িতরা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, সময় বাড়ানোর জন্য এরইমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেতুর উচ্চতা কমানো হয়েছে। তবে, এতে করে নৌযান চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হবে না।

জামালপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ বলেন, ‘কাজের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ এগিয়ে গেছে। এরইমধ্যে আমরা নির্ধারিত সময় বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। ব্রিজের কিছু ডিজাইন জটিলতার কারণে এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডিজাইন সংশোধনের কাজ করা হয়েছে।’

জনগুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে এমন প্রত্যাশা এ অঞ্চলের মানুষের।

এফএস