নিহত মীম সাংবাদিক সাব্বির হোসেন হৃদয়ের স্ত্রী এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার জামালপুরের কবির হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে তিনি ফতুল্লার গলাচিপা মাসদাইর নতুন মসজিদ এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সাব্বির ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মীমের পরিবার তাকে হত্যার দাবি করছেন বলেও জানা যায়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে মীম নিজ বাবার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ফতুল্লা থানায় অবহিত করে। খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক মো. ওয়াসিম খান ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম খান জানান, হাসপাতালে গিয়ে আমি মৃত গৃহবধূর বাবা কবির হোসেন ও স্বামী সাংবাদিক সাব্বির হোসেন হৃদয়ের কাছ থেকে মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। এক পর্যায়ে গৃহবধূর স্বামী ও বাবা উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা সাব্বির হোসেনকে মারধর করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
আরও পড়ুন:
তিনি জানান, এসময় নিহতের পরিবারের লোকজন সাব্বিরকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপরও আক্রমণ চালায়। হামলায় পুলিশের গাড়ির সাইড গ্লাস ভেঙে যায়। সেই ভাঙা গ্লাসের অংশ লেগে পুলিশ সদস্য (১৩৫০) আহসান আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যকে খানপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে উপস্থিত স্টাফ ও সাধারণ জনগণ পুলিশকে সহায়তা করে।
পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার বলেন, ‘আমি শুনেছি রাতে এক সাংবাদিকের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পরে ওই পরিবার সাংবাদিককে মারধর করেছে। পুলিশ এসে ওই সাংবাদিককে থানায় নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি।’





