অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর নগর পরিবেশ গড়ে তোলা।
আজ (মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী এ কর্মসূচির শুরুতে নিবন্ধন ও সচেতনতামূলক উপকরণ—টুপি, টি-শার্ট এবং পরিচ্ছন্নতার সরঞ্জাম—বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন, ইউডিসিজিপির টিম লিডার রেইমুন্ড গারিসিও গো এবং সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি দল নির্ধারিত এলাকাগুলোয় বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় ইন্টার্যাকটিভ কমিউনিটি সেশন, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বর্জ্য আলাদা করা, উৎস পর্যায়ে বর্জ্য পৃথকীকরণের গুরুত্ব এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
সেশনে শিক্ষামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং হাতে-কলমে শেখার জন্য আয়োজন করা হয় ওয়েস্ট সর্টিং গেম বা বর্জ্য বাছাই খেলা।
একই সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন কুমিল্লা শীর্ষক অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুরা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহরের স্বপ্ন ফুটিয়ে তোলে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ইউডিসিজিপির কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অঙ্কন ও বর্জ্য বাছাই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নাগরিকদের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, উৎস পর্যায়ে বর্জ্য আলাদা করার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং টেকসই নগর ব্যবস্থাপনায় জনগণ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।





