কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় শেষ হলো ৩ দিনের লালন মেলা; বাউল-সাধকদের ভিড়ে মুখর ছিল আখড়াবাড়ি

কুষ্টিয়ার আখড়াবাড়ি
কুষ্টিয়ার আখড়াবাড়ি | ছবি: এখন টিভি
3

কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে শেষ হচ্ছে তিন দিনের লালন মেলা। নানা আনুষ্ঠানিকতায় সাধুসঙ্গের পর বাউল-সাধকরা ফিরবেন যার যার গন্তব্যে। যাতে ছড়িয়ে পড়বে লালন সাঁইজির মানবতার বার্তা। লালন আখড়াবাড়িতে আগতরা বলছেন, দিন দিন মানুষের মাঝে লালনের দর্শনে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে, তাই এবারের লালন আয়োজনে ভিড় ছিলো অন্য বারের চেয়ে বেশি।

আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবস ঘিরে এবারই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত হয় সাধুসঙ্গের আয়োজন।

গত (শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাখাল সেবা ও রাতে অধিবাস দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। এরপর গতকাল (শনিবার, ১৮ অক্টোবর) সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যদিয়ে শেষ হয় সাধুসঙ্গ। সাধু গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে আখড়াবাড়ি ছাড়বেন সাধু-বাউলরা। তবে বিদায় বেলায় আবারও মিলিত হওয়ার আশা লালন ভক্তদের।

সাধুরা জানান, লালন সাঁইজি যে তত্ত্ব দর্শন রেখে গেছেন তার শিষ্যদের মাঝে তা এখনো প্রতীয়মান। মানুষ যেখানে তার সত্যকে খুঁজে পাবে সেখানে ভিড় জমবেই। তাদের প্রেম, সাম্য, ভাতৃত্ববোধ রাষ্ট্রের সকল ক্ষত্রেই প্রচার করতে চান তারা।

আরও পড়ুন:

দর্শনার্থীরা বলছেন, দিন দিন লালনের অহিংস, মানবতাবাদী দর্শন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়। আগ্রহ বাড়ছে লালনের গান, বাণী ও সাধু-গুরুদের জীবনাচরণ নিয়ে।

দর্শনার্থীরা জানান, তারা এ আয়োজনে এসে আনন্দিত। পাশে মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে অনেক মানুষের ভিড় থাকলেও তারা উপভোগ করছেন আয়োজন।

১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক দেহত্যাগ করেন ফকির লালন সাঁইজি। সেই থেকে প্রতিবছর তার তিরোধান দিবস ঘিরে ভক্ত, অনুসারীরা পালন করে সাধুসঙ্গ ও লালন স্মরণোৎসব।

এফএস