উদ্বোধন শেষে মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে পরিণত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল— কীভাবে শহরের ময়লাগুলোকে সম্পদে রূপান্তর করা যায়। হালিশহরের মানুষ বছরের পর বছর দুর্গন্ধ ও দূষণের কষ্ট ভোগ করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা শুধু পরিবেশ রক্ষা নয় বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করব।’
মেয়র জানান, সিটি করপোরেশনের ওয়েস্ট টু এনার্জি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ টেস্ট বোরিং সফল হলে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনামূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।
আরও পড়ুন:
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় দুই হাজার ২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য ডোর-টু-ডোর প্রকল্প চালুর মাধ্যমে আমরা শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চাই।’
এসময় জনগণের খালে বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা বর্জ্য নালা বা খালে ফেলবেন না। একটু সচেতনতা আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম বায়োগ্যাস প্রজেক্ট, যা চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও টেকসই শহরে রূপান্তরে ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব এম এ আজিজ, হানিফ সওদাগর, বি অ্যান্ড এফ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান সি ডব্লিউ পার্ক, পরিচালক মেজর নাসিম উদ্দিন, পরিচালক প্রকৌশলী তানিম, প্রকল্প ইনচার্জ অ্যাডভোকেট তারান্নুম বিনতা নাসিম, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।





