নদী-বিল কেন্দ্রিক জেলা ফরিদপুর। এখানে এক সময় দাপট ছিল ডোঙ্গা নৌকার। তবে সময়ের সঙ্গে কমেছে ডোঙ্গার ব্যবহার, ম্লান হয়েছে এর জৌলুষ।
বাড়ি থেকে হাট বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের প্রধান বাহন ছিল ডোঙ্গা। যাত্রী পারাপার, ধান কাটা ছাড়াও মাছের ঘেরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো তালগাছের তৈরি ডোঙ্গা। কিন্তু এখন পানি সংকটে গ্রামগঞ্জের জলজ এ বাহনের ব্যবহার আর নেই বললেই চলে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় যে বিল বাওর পানিতে টুইটুম্বুর থাকতো, সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে কমছে পানি। এতে নৌকার ব্যবহার কমার পাশাপাশি প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যে।
স্থানীয়রা জানান, আগে ডোঙ্গার ব্যবহার ছিল। বাঁধ দেয়ার কারণে কোনো জলাশয়ে পানি নেই। তাই বিলুপ্তির পথে ডোঙ্গা।
আরও পড়ুন:
ভালো একটি তালগাছ দিয়ে দুটি ডোঙ্গা তৈরি করা সম্ভব, আর সেটিকে আট থেকে দশ বছর ব্যবহার করা যায়। বর্ষা চলে গেলে ডোঙ্গা ডুবিয়ে রাখতে হয় পানিতে। একটি ডোঙ্গা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।
ডোঙ্গা ব্যবসায়ীরা জানান, আগের তুলনায় এখন বেচাকেনা কমেছে তাদের। ফলে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না ডোঙ্গার ব্যবসায়ীরা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিবেশ বান্ধব ও সহজ নৌযান ডোঙ্গাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
ফরিদপুর পরিবেশবিদ পান্না বালা বলেন, ‘অপরিকল্পিত বাঁধ, সুইচ গেট এসব কারণে আজকের পরিবেশে পানির উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পানি ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারছে না। এতে হারাতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।’





