সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র নওয়াবেঁকী। যা উপকূলীয় এলাকার অন্যতম হাটবাজার। খোলপেটুয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠা এ বাজার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র।
নওয়াবেঁকী বাজার কেন্দ্র করে দিনে দিনে বাড়ছে দোকানপাটের সংখ্যা। তবে বাজারে জমি সংকট থাকায় পাশের খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। কেউ আবার গড়ে তুলেছেন মিল, ইট-বালুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নানা অজুহাতে প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলে কয়েকদিনের জন্য কাজ বন্ধ থাকে। পরে আবার শুরু হয় নির্মাণ।
স্থানীয়রা জানান, তাদের ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে কেউ কেউ পাঁচ বিঘা থেকে দশবিঘা জমি দখল করে রেখেছেন। বিভিন্ন ধরণের অবৈধ দোকান বসানো হয়েছে চরে।
চেয়ারম্যানের অভিযোগ, বারবার নিষেধ করার পরও থামছে না স্থাপনা নির্মাণ। এমনকি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত সরিয়ে ফেলছেন প্রভাবশালী দখলদাররা।
আরও পড়ুন:
সাতক্ষীরা শ্যামনগর আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, ‘আমরা একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছি। যারা কাজ করেছে তারা হয়তো সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে।’
অবৈধ দখল ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, প্রাথমিকভাবে নদী দখল বন্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই যেসব স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন বলেন, ‘দখলদারদের প্রতি ম্যাসেজ থাকবে আপনারা যাই করুন না কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যখন প্রয়োজন হবে তখন আমরা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করবো।’
খোলপেটুয়া নদী শুধু সাতক্ষীরার প্রাণ নয়, উপকূলীয় বাসিন্দাদের জীবন ও জীবিকার অন্যতম ভরসা। অথচ অবৈধ দখল আর স্থাপনা নির্মাণে ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে নদীর প্রবাহপথ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের অস্থায়ী অভিযান কিংবা সতর্কবার্তা নয় নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর উচ্ছেদ অভিযান।





