সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হামিরদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। তবে নিজেদের সমঝোতায় সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নেন। নতুন দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিনা শর্তে মুক্তি, দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, রাতের বেলায় প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ, নতুন মামলা না দেয়া এবং দুই ইউনিয়নের পুনর্বহাল।
এদিকে, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে ভাঙ্গা গোলচত্বর সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।
অপরদিকে, সোমবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক ও জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক জানান, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার বিষয়ে জনগণের তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, এ সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমানা পরিবর্তনের কারণে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। ক্রমে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। সোমবার বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয় এবং সরকারি যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হয়, ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
জেলা প্রশাসক তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, জনগণ আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। উভয় আসনের সর্বস্তরের মানুষ এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।





