জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন উপকারভোগীর সংখ্যা চার হাজার এবং প্রতিটি ট্রাকে থাকে ৪০০ পরিবারের জন্য টিসিবি পণ্য। পাশাপাশি এসব টিসিবি পণ্য ক্রয় করতে কোন কার্ডের প্রয়োজন হবে না। ফলে টিসিবি পণ্য যেকেউ ক্রয় করতে পারবেন।
শহরের দূর্গানারায়নপুর মহল্লার বাসিন্দা জীবন দাস (৫০) বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। এতগুলো পণ্য একসাথে কিনতে গেলে অনেক টাকা করচ হতো। কোনো কষ্ট ছাড়াই অল্প সময়ে টিসিবি পণ্য পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।’
একই মহল্লার মাধবী সাহা (৩০) বলেন, ‘টিসিবি পণ্য পেতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু আজ এত সময় প্রয়োজন হয়নি। সুন্দর করে লাইনে দাঁড়িয়ে তেল, চিনি এবং মশুরের ডাল কিনতে পেরেছি।’
কসবা মহল্লার জামান মিয়া (৪০) বলেন, ‘ঈদের আগে টিসিবি পণ্য পেয়ে অনেক উপকার হলো। বিশেষ করে এবার টিসিবি পণ্য কিনতে কোনো কার্ডের প্রয়োজন হয়নি। তাই নিম্ন আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্ত পরিবারের সকলেই পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।’
একই মহল্লার সুলতানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘বাজারদরের থেকে অনেক কমদামে টিসিবি পণ্য কিনতে পেরে আমি খুশি। বিশেষ করে আসন্ন ঈদের আগে চিনি, তেল এবং ডাল পেয়ে খুব উপকার হয়েছে। আমরা চাই ঈদের আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকুক।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘আমাদের মোট ১৩ দিন বিতরণের জন্য টিসিবি পণ্য রয়েছে। পণ্য বিক্রির সময় অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রতিটি স্পটে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
