আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) মিরপুরের সিআরপির সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত এসএমএ রোগী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কেটে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি শুরু করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘অকুপেশনাল থেরাপি হলো এমন একটি চিকিৎসা ও সেবা, যার মাধ্যমে একজন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধীকেও স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা প্রতিবন্ধী শিশুদের যেমন—অটিজম, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভ ডিস-অর্ডার বা এডিএইচডি, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি, স্পাইনা বাইফিডা, বাঁকানো পা বা ক্ল্যাব ফিট, গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএস, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস ইত্যাদির চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।’
অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্বে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মিরপুর সিআরপির অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাকিব হোসাইন। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অকুপেশনাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিওটিএ) সহ-সভাপতি অনিমা দাস নুপুর, মিরপুর সিআরপির ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোর্শেদুল কাদের, কিউর এসএমএ বাংলাদেশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জুনিয়র কনসালটেন্ট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এসএম ফারহান বিন হোসাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট মনীষা চক্রবর্তী।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিরল এসএমএ রোগে আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি সিআরপি, কিউর এসএমএ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ অকুপেশনাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, ‘স্পাইনাল সার্কুলার অ্যাট্রফি বা এসএমএ একটি বিরল রোগ। পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়াই জিনঘটিত এ রোগের কারণ। ওষুধের পাশাপাশি থেরাপি এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ উপকারে আসে। তাই এসএমএর সাথে অকুপেশনাল থেরাপি বিষয়টিও জড়িত। আগামী দিনে সিআরপি এবং কিউর এসএমএ বাংলাদেশ এসএমএ রোগীদের কল্যাণে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত রোগীদের অকুপেশনাল থেরাপি সর্ম্পকে ব্যবহারিক জ্ঞান এবং স্ক্রিনিং ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। বিশ্বের ১১১টি দেশেই অক্টোবর মাসে অকুপেশনাল থেরাপি সপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এ বছর বিশ্ব অকুপেশনাল থেরাপি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য অকুপেশনাল থেরাপি’।
স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি বা এসএমএ একটি দুরারোগ্য বিরল রোগ। পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এ রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশ টেস্ট এবং চিকিৎসায় আওতায় আসছে না। ফলে চিকিৎসার অভাবেই অসংখ্য শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। দেশে এসএমএ রোগীদের কল্যাণে কাজ করা একমাত্র সংগঠন ‘কিউর এসএমএ বাংলাদেশ’ এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও রোগীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।