বিশাল অডিটোরিয়ামজুড়ে ৬০ এসি। ২০১০ সালের এসএ গেমস আয়োজনের স্মারক হয়ে আছে এ নষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। শহিদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামের বেহাল চিত্রের সামান্য চিত্র এটি। পাশেই মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম। পাশাপাশি থাকা এ তিন ফেডারেশন যেন সংকটের খনি।
টেবিল টেনিসের পদকজয়ী তারকা খই খই মারমা এখন টেলিভিশনে তুলে ধরলেন নানা সংকটের কথা।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের খেলোয়ার খই খই মারমা বলেন, ‘মাঝে মাঝে খাবারের সমস্যা, মাঝে মাঝে পানির সমস্যা হয়। সারাদিন পানি থাকে না। আমরা প্র্যাকটিস করে আসি কিন্তু পানি পাই না। ফেডারেশন চেষ্টা করে তবে সিকিউরিটি না থাকার কারণে পাইপ কেটে নিয়ে যায়। এ জন্য আমাদের অনেক ঝামেলাই ফেস করতে হয়। তারপরেও আমরা মানিয়ে নিয়ে ক্যাম্পটি চালিয়ে যাই।’
আরও পড়ুন:
সমস্যার শেষ এখানেই না। টেবিল টেনিসের তারকাদের থাকার জায়গাও ঠিক কতটা খেলোয়াড় বান্ধব সেটাও এক প্রশ্ন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেডারেশনের বেশ কিছু রুমে সূর্যের আলোও আসেনা। সেইসঙ্গে কমপ্লেক্সের এসি নষ্টের সুবাদে ভ্যাপসা আবহাওয়া খেলোয়াড়দের প্রতিদিনের সঙ্গী। এছাড়া ইনডোর স্টেডিয়ামের বাইরে ভাসমান মানুষ এবং মাদকাসক্তদের কারণে আছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চিঠিও প্রদান করেছি যে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে একটি গেট করি। তবে এ বিষয়ে আমরা কোনো উত্তর পাইনি। এর পরে আমরা বক্সিং ফেডারেশনের সেক্রেটারিকে অনুরোধ করেছিলাম আমরা একটি কিছু করতে পারি কিনা। তাদের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে আমরা গেট বন্ধ করে রেখেছি।’
বাক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কুদ্দুস খান বলেন, ‘এখন করার তো কিছু নেই তারা সেখানে দিনের বেলা রাতের বেলা থাকে। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে আমরা তিন থেকে চারটি ফেডারেশন মিলে চিন্তা করেছি এ জায়গায় কিভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়।’
এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় দুই ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। দু’জনের কণ্ঠেই মিললো আশ্বাসের সুর।





