দুপুর ১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তারেক রহমান প্রথমে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইসি সচিবালয়ে ১০৪ নম্বর রুমে তার ভোটার হওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তারেক রহমান। সেখানে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তোলেন তিনি। পরে ১০ আঙ্গুলের ছাপ দেন। এরপর চোখের আইরিশ দেন ও সবশেষে এনআইডির জন্য স্বাক্ষর তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তারেক রহমান অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।’
তিনি জানান, ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পর সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তারেক রহমান জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ফিঙ্গার দেয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন ৭ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান। তবে সঠিক সময় আগ থেকে বলার সুযোগ নাই।’
আরও পড়ুন:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় লাখ লাখ নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের জমায়েত হয়। ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সমাবেশে সারা দেশ থেকে দলের মনোনীত প্রার্থীরা যোগ দেন।
পরদিন গতকাল (শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর) শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তারেক রহমান।
এরপর একাত্তরের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গতকাল রাত ১০টার কিছু সময় পর তাকে বহনকারী বাস ও গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ছিলেন।
তৃতীয় দিনের কর্মসূচি হিসেবে আজ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেছেন তারেক রহমান। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি হাদির কবর জিয়ারত করেন।





