গতকালও (শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর) যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হাড়-কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শৈতপ্রবাহের কারণে শহরাঞ্চলে সন্ধ্যার পরপরই বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। শ্রমজীবী মানুষ ভোরে কাজে বের হতে না পারলেও কুয়াশা কমে গেলে সূর্যের আলো দৃশ্যমান হওয়ার পর তারা শহরে বের হচ্ছেন।
জেলা শহরের লালদীঘী পাড়ে প্রতিদিন ভোরে তিন থেকে চারশো মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে সেই সংখ্যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন:
সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতকালে এমনিতে কাজ কম থাকে। একদিন কাজ পাইতো তিনদিন পাই না। তারপরও এ শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থাকি, কেউ যদি কাজে নেয় সেই আশায়’।
এদিকে দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে রাজধানীতে আরও তীব্র হচ্ছে শীত। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত ঢাকার ছিন্নমূল মানুষরা।





