দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন আর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তৎপরতায় অস্থিরতা বিরাজ করছে আফ্রিকার দেশ মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার-এই তিন দেশ নিয়ে গঠিত সাহেল অঞ্চলে। সম্প্রতি এসব গোষ্ঠী আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। গেল সেপ্টেম্বর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে অবরোধ তৈরি করেছে তারা। জায়গায় জায়গায় তারা আটকে দিচ্ছে জ্বালানি ট্যাঙ্কার, আমদানি করা পণ্যের যানবাহন।
চলমান উত্তেজনা সাহেল অঞ্চলকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যার প্রভাব পরছে অর্থনীতিতে, বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম, তৈরি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা সংকট।
সামরিক অভ্যুত্থান, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও হস্তক্ষেপ এবং সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থতা থেকে শুরু করে নানা কারণে সম্প্রতি পশ্চিমা প্রভাবের বলয় ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেট থেকে বেরিয়ে আসে এই তিনটি দেশ। যার ফলেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এ অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন:
নিরাপত্তা সংকট নিরসনে পশ্চিমা শক্তি ব্যর্থ ভেবে সাহেল অঞ্চল ভিড়ে রাশিয়া ও চীনের মত পরাশক্তির কাছে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ পরিবর্তন না আসায় মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার একত্রে একটি যৌথ সামরিক বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
মালির রাজধানী বামাকোতে অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেইট-এর উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী সাহেল সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা আসে। এই যৌথ সামরিক শক্তিতে থাকবে তিন দেশের পাঁচ হাজার সৈন্য, যাদের মূল লক্ষ্য হবে সাহেল অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাহেল অঞ্চলে চলমান সংকট নিরসনে একটি সামরিক জোট হয়তো কিছুটা সহায়তা করতে পারবে, তবে আঞ্চলিক অস্থিরতা বন্ধে প্রয়োজন রাজনৈতিক পদক্ষেপ।





