নিহতরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার কিশোরী কন্যা অনাদি আক্তার এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। অনাদি ও কমলা সম্পর্কে নাতনি ও নানী। সাদিয়া বেগম ছিলেন তাদের প্রতিবেশী।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
রেলওয়ে এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করছিল।
এ সময় নানী–নাতনি ও তাদের প্রতিবেশী সাদিয়া বেগম একসঙ্গে হাঁটতে বের হলে অসাবধানতাবশত তারা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, যেহেতু এটি রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা, তাই রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলোর সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় এবং পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।’





