আজ (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘১৭ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করবে।’
মাহফুজ আলম বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
পোস্টে তিনি লেখেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে জিয়া পরিবারের অঙ্গীকার কয়েক দশক ধরে প্রমাণিত। আশা করি, তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন এবং একটি সত্যিকারের সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করবেন।
পোস্টের শেষের দিকে এসে সাবেক এই উপদেষ্টা বিএনপি নেতাকে দেশে স্বাগত জানিয়ে লেখেন, ‘স্বাগতম।’
১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর তারেক রহমান আজ নিজ দেশে ফিরেছেন। লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সিলেট হয়ে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে লন্ডন থেকে ফেরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি বাসে করে তিনি জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক) এলাকায় অনুষ্ঠানস্থলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এর আগে তিনি খালি পায়ে শিশিরভেজা ঘাসে, মাটিতে পা রাখেন এবং এক মুঠো মাটি তুলে আবেগঘন মুহূর্তে নাকে নিয়ে শোঁকেন।
এরপর মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে তারেক রহমানকে বহনকারী বাসকে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিমানবন্দর সড়ক থেকে ৩০০ ফিট সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাখো মানুষ স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানায়।
পরে তারেক রহমান জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন এবং লাখো মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে যাওয়ার পথে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে তাদের অবিচল সমর্থনের স্বীকৃতি জানান।—বাসস





