পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ ছাড়া পরে অধ্যাদেশের বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপও সাংবাদিকদের দেয়া হয়।
অনুমোদন করা অধ্যাদেশের খসড়ায় ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকে অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া টেলিযোগাযোগ সেবার ক্ষেত্রে আপিল ও সালিস বিষয়ক ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
খসড়ার সারসংক্ষেপে বলা হয় ২০১০ সালের বিতর্কিত সংশোধন কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্বাধীনতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির ক্ষমতা ও কার্যপরিধির মধ্যে ভারসাম্য আনা হয়েছে। আগে সব লাইসেন্স ইস্যুর অনুমোদন মন্ত্রণালয় থেকে হলেও এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স মন্ত্রণালয় ইন্ডিপেনডেন্ট স্টাডির ভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। আর অন্যান্য সব লাইসেন্স ইস্যু করার এখতিয়ার বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির সভাপতিত্বে একটি জবাবদিহি কমিটি থাকবে। অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি চার মাসে বিটিআরসিকে গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে রাখতে হবে।





