ভোলা জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে জেলার ৭ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা ঢাকার ৩০০ ফিটের জনসভায় উপস্থিত হওয়ার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। লঞ্চযোগে কেউ কেউ এরইমধ্যে নিজ উদ্যোগে ঢাকায় পৌঁছেছেন, আবার কেউ কেউ আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাতে দলবদ্ধভাবে লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ২৫ ডিসেম্বর সকালে একত্রিত হয়ে জনসভায় উপস্থিত হয়ে জনসভা শেষে তারা একই লঞ্চে ভোলায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন:
১৩টি লঞ্চের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে ৩টি লঞ্চ, দৌলতখান থেকে ১টি, বোরহানউদ্দিন থেকে ২টি, লালমোহন থেকে ২টি, তজুমদ্দিন থেকে ১টি, চরফ্যাশন থেকে ৩টি ও মনপুরা উপজেলা থেকে ১টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত ভোলা-১ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। গত ৫আগস্ট দেশ দ্বিতীয় বারের মত দেশ স্বাধীন হয়েছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বহুল কাঙ্ক্ষিত। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তিনি দেশে ফিরছেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বরণ করতে জেলার ৭ উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকা যাবেন। স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বিএনপি কর্মী মো. হোসাইন ও সিদ্দীকুল্লাহ বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েও বিএনপির রাজনীতি ত্যাগ করিনি। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শহিদ জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, তাকে একনজর দেখতে ২৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চযোগে যাত্রা করবো।’
ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভোলা সদর উপজেলা থেকে ৩টি লঞ্চে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবো।’





