দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবলারদের চাওয়া নিজস্ব একটি মাঠ। যেখানে কারো অনুমতি বা কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই ইচ্ছেমতো ম্যাচ খেলাসহ অনুশীলন করতে পারবেন ফুটবলাররা। তবে দেশ স্বাধীনের পর থেকে বাফুফের সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর আমল থেকে তাবিথ আউয়ালের বর্তমান কমিটি কেউই দূর করতে পারেনি সিনিয়র থেকে জুনিয়র ফুটবলারদের সেই আক্ষেপ। তবে ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ৩০ কোটি টাকার বরাদ্দের সিদ্ধান্তে নতুন এক দিগন্তের পথ উন্মোচন হয় দেশের ফুটবলে।
টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ২০২২ সালে রামুর খুনিয়াপালংয়ে ২০ একর জায়গা বাফুফেকে হস্তান্তর করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপে ফিফাকে এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস প্রতিবেদন পাঠায় বাফুফে। তবে কিছু জটিলতায় সে জায়গার দাবি ছাড়তে হয় ফেডারেশনকে। পরবর্তীতে একই উপজেলার রশিদনগরে পরিমাণ কমিয়ে ১৫ একর জমি মৌখিকভাবে বাফুফেকে বরাদ্দ দেয় যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে সরকার পরিবর্তনে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। সরকারি খাস জমি হস্তান্তরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ফান্ডে জমা দিতে হবে আট কোটি টাকা।
কামরুল হাসান হিলটন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আসছে, হয়তো দুই একদিনের ভেতরে কথা বলে এটা ফাইনাল করা হবে।’
আরও পড়ুন:
এদিকে ফিফার কঠিন শর্ত অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু না করলে বাতিল হবে এ বরাদ্দ। এমন বিশাল সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয় সে কারণে ফিফাকে চিঠি দেয় বাফুফে। এতে সাড়াও দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
কামরুল হাসান হিলটন বলেন, ‘আমাদের ট্রেনিং সেন্টারে ফিফার যে অর্থায়ন, সেটা আমরা এক্সটেনশন করে নিয়েছি। সমস্যা নেই। প্রায় তিন মাসের মতো আমরা এক্সটেনশন করি নিয়েছি।’
এদিকে জমি বুঝে নিলেও এর বিনিময়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ফান্ডে আট কোটি টাকা জমা দেয়নি বাফুফে। যা দ্রুত শেষ করতে চায় ফেডারেশন।
এদিকে ফিফা সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হলে উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, আধুনিক জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুলসহ অ্যাকাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা থাকবে দেশের খেলোয়াড়দের জন্য। তাতে এক সময় স্বপ্ন দেখা সাবেক ফুটবলারের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস।
সাবেক ফুটবলার গোলাম সারওয়ার টিপু বলেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যদি রাজিও হয়, তখন ভূমি মন্ত্রণালয় রাজি হবে না। আবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় রাজি হলে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে ওখানে অন্য সমস্যা আছে। এগুলো সাড়াতেই তো সমস্যা হয়ে যায় অনেক।’
এক্সিলেন্স সেন্টারের বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ হলে ফুটবলের অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ।




