দেশের ৬৪ জেলার অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ দলসমূহের অংশগ্রহণে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। দেশের আটটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট। এর আগে রোববার মতিঝিলের বাফুফে ভবনে হয়ে গেল প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন ও ড্র অনুষ্ঠান।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আটটি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা বাজেটের এ টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য জানান বাফুফের নির্বাহী সদস্য সাইদ হাসান কানন।
তিনি বলেন, ‘আগামী চার বছর পর আমাদের একটা পাইপলাইন তৈরি করার চেষ্টা করছি। চার বছর পর আমাদের জাতীয় দলে ট্যালেন্ট খেলোয়াড়রা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলতে পারবে। সেটিই আমাদের টার্গেট।’
দেশের বয়সভিত্তিক ফুটবলে বয়স চুরি নতুন কোনো ঘটনা নয়। প্রায় প্রতিবারই ফুটবলারদের বয়স চুরি নিয়ে ওঠে অভিযোগ। এটি ঠেকাতে এবার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বাফুফে?
আরও পড়ুন:
সাইদ হাসান কানন বলেন, ‘অলরেডি বয়স নির্ধারণের জন্য আমাদের কিন্তু টিম ছিল। তারা গিয়ে ট্রায়াল এবং সব খেলোয়াড়দের দেখে তারপর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।’
ফুটবল টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজন মাঠ। এর আগে ভালো মানের মাঠ না পাওয়ায় বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। স্টেডিয়াম ঠিক রাখতে বিশেষ পদক্ষেপের কথা জানান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘খেলা বা কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যেমন কোনো মাঠ বরাদ্দ। আমরাও কিন্তু জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করেই কিন্তু মাঠ বরাদ্দ দেই। সেক্ষেত্রে আশা করি যে সমস্যা হবে না। মাঠের সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হবে।’
দেশের ফুটবলের তৃণমূলের অংশ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল। এখান থেকেই উঠে আসবে ভবিষ্যতের হামজা-জামালরা। আর তাই সুষ্ঠুভাবে এ টুর্নামেন্ট পরিচালনার মাধ্যমে সেরা প্রতিভা বের করে আনতে চায় বাফুফে।





