শীতের সকাল গড়াতেই শ্রমিকদের ব্যস্ততা যেমন বাড়তে থাকে, ঠিক তেমনই পাখিদের কলকাকলিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো কারখানা এলাকা। নিরাপদ আশ্রয় আর উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় এসব লেক রূপ নেয় অতিথি পাখির প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে।
কারখানায় কর্মকর্তারা জানান, যে কর্মচারীরা এখানে কাজ করে তারাও যেন পাখিদের বিরক্ত করতে না পারে সেদিকে তারা খেয়াল রাখেন।
একজন ট্রাক ড্রাইভার বলেন, ‘অতিথি পাখির জন্য গাড়ি আস্তে চালাই। হর্ন কম বাজানোর চেষ্টা করি।’
গত ৪ বছর শীত এলেই সাভারের ধামরাইয়ের জলাশয় যেন রূপ নেয় অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে। কারখানার তিনটি লেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে পাতি হাঁস, বালি হাঁস, পানকৌড়ি, শামুকখোলসহ অন্তত দশ প্রজাতির পাখির। বিগত বছরের চেয়ে এবছর বেড়েছে অতিথি পাখি।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই পাখির ডাক অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। ঢাকার কাছেই এমন পরিবেশ পাওয়া যাবে তারা ভাবতেই পারেননি। কর্তৃপক্ষ পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে দাবি জানান তারা।
উত্তরের শীতপ্রধান দেশ সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল ও ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে এসব অতিথি পাখি। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অক্টোবরের শেষ দিকেই তারা ভিড় জমায় এদেশে। মার্চের শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হতে শুরু করলে আবার ফিরে যায় স্থায়ী আবাসে।
আর এসব আগন্তুক পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর নজরদারিতে রয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সাভার একেএইচ নিটিং এন্ড ডাইং প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমাদের এখানে শিকার বন্ধ। আমাদের সিকিউরিটি থাকে যাতে কোনোভাবেই কেউ পাখি শিকার করতে না পারে। আমরা কোনো সাউন্ড পলিউশন করি না। এছাড়াও আমাদের এখানে কিছু কালটিভেটেড ল্যান্ড ছিলো যে ল্যান্ডে চাষাবাদ করতে গেলেও পাখিগুলো থাকে না। এজন্য আমরা বন্ধ রেখেছি।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে অতিথি পাখি কমছে, সেখানে তার উল্টো চিত্র ধামরাইয়ের এই কারখানায়।





