নির্মাণাধীন পূর্বাচল স্টেডিয়ামে লুট ৩০ লাখ টাকা, উদ্বেগ বিসিবির

নির্মাণাধীন পূর্বাচল স্টেডিয়াম | ছবি: এখন টিভি
0

নির্মাণাধীন পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাটির জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ের হিসাব দেখালেও, মাটি পাওয়া গেছে মাত্র ৭ লাখ টাকার। লুট করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) মাঠ পরিদর্শন শেষে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেবল পূর্বাচলই নয়, অন্য স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর।

পূর্বাচলের ক্রিকেট মাঠ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যেন লেগেই আছে। সর্বশেষ মাঠের মাটি চুরির অভিযোগে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, মাটি ফেলার দায়িত্ব পাওয়া উইন্ডস্টার রিসোর্সেস খরচ বাবদ ৩৭ লাখ টাকা দেখালেও, সেখানে মাত্র ৭ লাখ টাকার মাটি পাওয়া গেছে।

গত সোমবার এমন খবর প্রকাশের পরদিনই পূর্বাচলে মাঠ পরিদর্শনে ছুটে যান বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির নতুন চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন পরিচালক। এমন হরিলুটের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা। সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তেরও।

আরও পড়ুন:

বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘বেশ কিছু মাটি পূর্বাচলে পড়ার কথা। এখন যেটি দেখা যাচ্ছে, পরিমাপ করে দেখা যাচ্ছে এবং আমি কাগজে যেটি দেখেছি প্রায় সারে সাত হাজার সেপটিকের মতো মাটি রয়েছে। অলমোস্ট সারে ১২ হাজার সেপটিকের মতো মাটি দেখি না। এটি আমাদের আসার আগের ঘটনা। আমরা তদন্ত করছি। খুব শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব।’

বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর জানিয়েছেন, শুধু পূর্বাচলেই নয় এমন অভিযোগ তিনি অন্য মাঠের ক্ষেত্রেও পেয়েছেন।

বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘বান্দরবান স্টেডিয়াম থেকেও মাটি নিয়ে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে বিসিবি থেকে অনুদান পাঠানো হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা টার্ফ তৈরি করতে পারে খেলা শুরু করতে পারে এবং প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিসের সুযোগ যেন সৃষ্টি হয়।’

দীর্ঘদিন পরও আলোর মুখ দেখছে না পূর্বাচলের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। স্টেডিয়ামের মূল কাঠামো নির্মাণ না করা গেলেও জায়গাটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন কর্মকর্তারা।

বিসিবি অপারেশন ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী সিজন থেকে আমরা এখানে খেলতে পারব। এখন অবকাঠামো কতটুকু হবে এটি ডিফারেন্ট কেস। প্র্যাকটিসের মাঠ নেক্সট সিজন থেকে রেডি হয়ে যাবে।’

পূর্বাচলের এ মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত হলে ঢাকায় ক্রিকেটারদের খেলার যে সংকট আছে সেটা কাটবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

এফএস