বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশে প্রাণহানি ৬ শতাধিক

শ্রীলঙ্কায় বন্যা পরিস্থিতি
শ্রীলঙ্কায় বন্যা পরিস্থিতি | ছবি: আল জাজিরা
0

শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালানোর পর অবশেষে কিছুটা শক্তি হারিয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ। সরাসরি আঘাত হানার আশঙ্কা কেটে গেলেও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এদিকে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশে এখন পর্যন্ত ৬ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালানোর পর বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে তামিলনাড়ুর পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ। তবে, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তি হারিয়ে ফেলায় ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ুতে সরাসরি আঘাত হানবে না।

তবে ডিটওয়াহর প্রভাবে তামিলনাড়ুর কুদ্দালোর, নাগাপত্তিনম, মায়িলদূরাই, ভিলুপুরাম এবং চেঙ্গলপট্টু জেলাসহ পুদুচেরি ও করাইকালে কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্ধশতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে চেন্নাই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও, দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রায়ালসীমা জেলার কয়েকটি অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। তেমন বিপর্যয়ের পূর্বাভাস না থাকলেও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে জারি আছে লাল সতর্কতা।

আরও পড়ুন:

এদিকে, শ্রীলঙ্কায় ডিটওয়াহর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গেছে দেড় শতাধিক মানুষের। জারি আছে জরুরি অবস্থা। এখনও সন্ধান মেলেনি প্রায় ২০০ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এছাড়া ঘরছাড়া প্রায় ৮০ হাজার লঙ্কানকে ঠাঁই নিতে হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।

অন্যদিকে, অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৪ দেশে হুহু করে বাড়ছে প্রাণহানি। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় শনিবার পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৬০০ বেশি মানুষের।

ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৩০০ বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে অধিকাংশ নদীর পানি। রাতারাতি বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে না দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সঙখলা প্রদেশে বন্যার পানির উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত। চলতি দশকের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় ১০ প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩৮ লাখ মানুষ।

আর মালয়েশিয়ায় হতাহতের সংখ্যা খুব কম হলেও ক্ষয়ক্ষতি মাত্রা অনেক। বন্যায় ভেসে গেছে ১৫ হাজার বসতবাড়ি। আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে হয়েছে ৭৮ হাজার মানুষকে। বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন পার করছেন দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নাগরিক।

সেজু