জামায়াতের কাছে ‘২০০ আসন’ চাওয়া সংক্রান্ত সংবাদ ভিত্তিহীন: ইসলামী আন্দোলন

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো | ছবি: এখন টিভি
1

‘জামায়াতের কাছে ২০০ আসন চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ শিরোনামে যে ফটোকার্ড প্রচারিত হয়েছে তা অসত্য এবং ভুল তথ্যের ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্মিত বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ (সোমবার, ২৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী আন্দোলন থেকে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে। এ বোঝাপড়া ও যৌথ রাজনৈতিক পথচলার ধরণ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে বারংবার স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে যে, এটা কোনো জোট না। বরং আসনভিত্তিক নির্বাচনি সমঝোতা। প্রতিটি আসনে ইসলামপন্থীদের একক প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা থেকে যৌথ নির্বাচনী পথচলা এগিয়ে চলছে।

আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত জোটের রাজনীতির বাইরে এ ধরনের আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার যে রাজনীতি তা অনন্য। কোনো দলের কাছে কোনো দল আসন চাওয়া বা এক দল আরেক দলকে আসন দেয়ার যে পুরনো কনসেপ্ট তা এ সমঝোতায় প্রযোজ্য না।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জামায়াতের কাছে ২০০ আসন চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ শিরোনামে যে ফটোকার্ড প্রচারিত হয়েছে তা অসত্য এবং ভুল তথ্যের ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্মিত। আমরা মনে করছি, রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশে এ ধরনের অপপ্রচার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীও ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আন্দোলনরত আট দলের অন্যরাও বহুসংখ্যক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার লক্ষ্যে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটি কাজ করছে। এখানে একদল আরেক দলের কাছে আসন চাওয়া বা একদল আরেক দলকে আসন দেয়ার সংবাদ একটি অবান্তর সংবাদ।

বিজ্ঞপ্তিতে সবশেষ বলা হয়ছে, আমরা সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। দেশের এ ক্রান্তিকালে দুটি দলের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশে আরও সতর্কতা ও সংবেদনশীলতা আশা করি।

এসএস