৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো আশুলিয়াতেও বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি আশুলিয়া থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, এতে ছয়জন নিহত হন। পরে তাদের মরদেহ পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
আজ (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) এ মামলার গ্রেপ্তার আসামি পুলিশের সাবেক এসআই শেখ আবজালুল হক রাজসাক্ষী হিসেবে ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে জবানবন্দি দেন ট্রাইব্যুনালে।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট বিকালে ৫ টায় ওসি সায়েদের নির্দেশনায় এএসআই বিশ্বজিৎসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে গুলি ছোড়ে বিজয় মিছিলে।’
আরও পড়ুন:
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমপি সাইফুল ইসলামি এবং ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এসপি আসাদুজ্জামান রিপন এবং অ্যাডিশনাল এসপি যে দু’জন আছেন জোন ইনচার্জ তাদের ভূমিকার ব্যাপারে অর্থাৎ তাদের ইনঅ্যাকশন এবং “পাওয়ার টু পানিশ” যেটা প্রয়োগ করেননি সেটার ওপর বর্ণনা দিয়েছেন। অর্থাৎ কমান্ড রেসপনসিবিলিটিতে যারা ছিলেন এবং একজন পারপিট্রেটরের নাম বলেছেন। আমাদের মতে, ফুল এবং ট্রু ডিসক্লোজার উনি আশুলিয়ার বর্ণনা ওনার জানা যতটুকু, সেটা উনি করেছেন।’
আসামি থেকে রাজসাক্ষী হযে আবজালুল হক আরও জানান, ১৫ আগস্ট তিনি জানতে পারেন, পিকআপে তোলা মরদেহগুলো পরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘শহিদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে বিবেকের তাড়নায় এ জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।’
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউকে উৎসাহিত করিনি, অনুরোধ করিনি, প্ররোচণা দেইনি। আজকের সাক্ষীও বলেছেন যে, কারও প্ররোচণা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে উনি সাক্ষী হয়েছেন।’
এদিকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ চানখাঁরপুলে ৬ জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার মামলায় ২৬তম সাক্ষী হিসেবে মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন।





