গেল অক্টোবরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর এটি জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য করা দ্বিতীয় মামলা। এর আসামি গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে, আলোচিত এ মামলা রায় ঘোষণার দিনে উপনীত হয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন:
ট্রাইব্যুনালে বর্ণিত মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণে এ মামলায় সুনির্দিষ্ট ৫টি অভিযোগের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ। সজ্ঞানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর ব্যাপকভিত্তিক ও কৌশলগতভাবে হত্যাযজ্ঞের উস্কানি, নির্দেশদাতা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
প্রসিকিউশনের দাবি, তারা অকাট্যভাবে এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন এবং তারা আশা করছেন ট্রাইব্যুনাল এসব অপরাধের দায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন। এ মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্র-নিযুক্ত আইনজীবীরা লড়েছেন। তারা বলছেন, তাদের আসামিরা খালাস পাবেন।
জুলাই আগস্টের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বিচারের দাবি নিয়ে অপেক্ষা করছেন জুলাই আন্দোলনে শহিদ, আহত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।





