অটোরিকশা-ইজিবাইকের ‘যন্ত্রণায়’ যানজট দুর্ভোগে সুনামগঞ্জবাসী

সুনামগঞ্জে তীব্র যানজটের চিত্র
সুনামগঞ্জে তীব্র যানজটের চিত্র | ছবি: এখন টিভি
1

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে তীব্র যানজটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিনিয়ত অটোরিকশা-ইজিবাইকগুলো বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র যানজটের কবলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।

তীব্র যানজটে অসহনীয় সুনামগঞ্জ শহর। প্রতিটি পয়েন্টে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এমন যানজট। পথচারী ও জনজীবনে এ নিয়ে নিত্য ভোগান্তি।

মূলত জেলার তিন চাকার বাহনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসীর জনজীবন। এসব অবৈধ বাহনের নেই ফিটনেসের অনুমতি, না আছে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সড়কে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি।

স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশা বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজট তীব্র হচ্ছে। আগে যে রাস্তা যেতে ৫ মিনিট সময় লাগতো সেখানে এখন সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন:

সুনামগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, পৌরসভা থেকে ১৩০০ ইজি বাইক ও ১৩০০ ব্যাটারিচালিত রিকশা লাইসেন্স দেয়া হলেও বাস্তবে তার চিত্র ভিন্ন। পুরো শহরে প্রায় ৪ হাজারের বেশি এসব অনিয়ন্ত্রিত বাহন চলাচল করছে। এতে শহরের আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট, থানা পয়েন্ট, কোট পয়েন্টসহ প্রায় ১৩টি পয়েন্টে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকছে।

যদিও অবৈধ বাহনগুলো দ্রুত জব্দ ও যানজট কমাতে নানা উদ্যোগের কথা জানান এই কর্মকর্তারা।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান বলেন, ‘অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে লাইসেন্সের বাহিরে যেগুলো আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত যে ব্যবস্থা নেয়া যায় তা করবো।’

সুনামগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হানিফ মিয়া বলেন, ‘ইজিবাইক আমাদের এ সদরে চলছে। যেগুলোর বৈধতা সাবেক মেয়র মহোদয় দিয়ে গিয়েছেন এগুলো প্রতিটা ডানপাশ দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য আমরা মাইকিং করছি যাতে করে ডানপাশ দিয়ে যাত্রী ওঠতে এবং নামতে না পারে। শুধুমাত্র বামপাশ দিয়ে ওঠবে এবং নামবে। এতে করে যানজট কমে আসবে।’

যানজট দ্রুত নিরসন করে ২২ দশমিক ১৭ বর্গ কিলোমিটার পৌরসভার সৌন্দর্য ফেরানোর দাবি অঞ্চলের মানুষের।

ইএ