গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার একটি অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সাধারণত একটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এ ভোটের লড়াইয়ে জিততে সাজায় নানা পরিকল্পনা। যার মধ্যে সভা, সেমিনার, লিফলেট বিতরণ, বিতর্ক অনুষ্ঠান অন্যতম। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে এসে অন্যান্য সকল বিষয়ের মতো নির্বাচনি প্রচারণাতেও এসেছে পরিবর্তন। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আধুনিক সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রচারণার চালানোর সংস্কৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ব্যতিক্রম নয় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি।
আগামী ১৬ নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রার্থীরা ভোটার মন জয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে । সম্প্রতি দেশটির রক্ষণশীল প্রার্থী এভলিন ম্যাথেই একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যা তার ভক্ত অনুরাগীসহ নানা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রার্থীরা আমাদের সমর্থন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এটির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন তারা। এটি খারাপ নয়।’
বর্তমান সময়ে এই ধরনের কৌশল তরুণদের সমর্থন পেতে দারুণ সহায়ক। তবে এর বিরোধিতা করছেন অনেকে।
তরুণদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এটা অপ্রয়োজনীয় ও অপমানমূলক। আমার মনে হয় না এটা তাকে নির্বাচনি লড়াইয়ে জিততে সাহায্য করবে।’
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ভিডিওটি ইউটিউবে আড়াই লাখ ভিউ পেয়েছে। গানটির শুরুতেই এবারের নির্বাচনে এভলিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জোসে আন্তোনিও কাস্ট ও জিনেট জারাকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
চিলির নির্বাচনি সংস্থা সার্ভেলের তথ্যমতে, দেশটির প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ভোটার তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। এদের মধ্যে ১৮ থকে ২৯ বছর বয়সসীমার ভোটার প্রায় ৩০ লাখ।





