আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই আগস্টের রক্তই হবে বাংলায় দেয়া শেষ রক্ত। আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই আগস্টের শাহাদাত হবে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শেষ শাহাদাত। আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই বিপ্লবের পরে আর বাংলার রাজপথে মিছিলের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য, অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের আবার রাজপথে আসতে হয়েছে। আমরা রাজপথে এসেছি, প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেবো। প্রয়োজনে আবার জীবন দেবো। আমাদের জুলাইয়ের অর্জনকে ব্যর্থ হতে দেবো না। ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) চালাকি শুরু করেছেন। সেটা হচ্ছে কথা বলবো, এই বলবো, সেই বলবো করতে করতে নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি চলে আসছেন। আপনাদের চালাকি আমরা বুঝি। আপনারা চালাকি করলেও আমরা তার প্রতিবাদে আমাদের দাবি আদায় করার পন্থা আবিষ্কার করবো, ইনশাআল্লাহ। সোজা আঙ্গুলে যদি ঘি না ওঠে, আঙ্গুল বাঁকা করবো। ঘি আমাদের লাগবেই। সময়ক্ষেপণের চালাকি আপনাদেরকেই (সরকারকে) বিপদে ফেলাবে, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পরও গণভোট করা যাবে উল্লেখ করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পরেও গণভোট করতে আইনি কোনো বাধা নাই। সুতরাং সময় আছে, আরও ১৫ দিন ক্ষেপণ করবেন, সময় থাকবে। আরও ক্ষেপণ করবেন সময় নতুনভাবে বের হবে। যা বুঝাতে চাই, বুঝে নিয়েন। এজন্য নো হাঙ্কিপাঙ্কি। সোজা সোজা গণভোট আগে দেন, অসুবিধা কী?’
তিনি বলেন, ‘শুধু বলেন, অনেক টাকা খরচ হবে। আমাকে একজন বলেছে, একদিনে বাংলাদেশে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, এর টাকা দিয়ে একটা গণভোট করা যায়। তাহলে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতিদিন একটা করে গণভোট করলেও টাকার সমস্যা হবে না। সুতরাং আমি এ সরকারকে বলবো, আর যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বলবো, আপনারা এগুলো বন্ধ করেন, ব্যবস্থা নেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে গণভোটের টাকার সমস্যা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বলেই হবে না। বড় দলকে বলবো, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’
আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, ‘জনগণ আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ আবারও অন্ধকারে যাবে।’





