এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) সেলিম বাদশা জানান, রোববার (২ নভেম্বর) রাতে লারিজ ফ্যাশন নামে পোশাক কারখানায় কর্মরত রিনা (৩০) নামে এক সুইং মেশিন অপারেটর হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সহকর্মী ও স্টাফরা তাকে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী ঈশা খা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের দাবি তাকে যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। মৃত রিনা কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ার দুলাল মিয়ার মেয়ে।
অবরোধকারী শ্রমিকদের দাবি, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে মালিক পক্ষ দায়ী। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তারা ছুটি না দিলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মালিক পক্ষের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ‘লারিস ফ্যাশনের’ সিও শিমুল জানান, গতকাল আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইখানে মৃত্যু হয়। এটা তো আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এবং মৃত্যুর পর দাফন সম্পন্ন করতে যত কার্যক্রম ছিল সবই আমাদের কোম্পানি থেকে করানো হয়েছে। তবে আমাদের কোম্পানির শ্রমিকদের দাবি ওই ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা লাগবে। আমরা তাতেও রাজি হয়েছি। কিন্তু তারা তবুও আন্দোলনে নেমেছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, সহকর্মী নিহতের ঘটনায় গার্মেন্টস মালিক পক্ষ দায়ী এমন দাবি শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। পরে শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ সকলে বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।





