১০ বছরের বেশি সময় হলো মাওলানা হকি স্টেডিয়ামে সবুজ টার্ফ উঠিয়ে বসানো হয়েছে নীল টার্ফ। এই সময়ে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক, স্কুল থেকে ক্লাব বিভিন্ন পর্যায়ের খেলা গড়িয়েছে এই টার্ফে।
তবে একবছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে নীল টার্ফটির। এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণের আগে মেয়াদউত্তীর্ণ টার্ফে অনুশীলন করছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এমনকি যুব বিশ্বকাপের জন্য ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিও চলছে এ টার্ফেই।
তবে অনুশীলন আর দেশিয় টুর্নামেন্ট করা গেলেও মেয়াদবিহীন টার্ফে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না ফেডারেশন। যদিও এ নিয়ে মতবিরোধ আছে খোদ হকি সংশ্লিষ্টদের মধ্যেই।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘যখন বিএইচএফ অ্যাপ্রুভ কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হবে, তখন একটা টেকনিক্যাল টিম আসে। ওরা এসে টার্ফ এবং অন্যান্য যে সুবিধাগুলো আছে আমাদের, সেগুলো চেক করে দেখে যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আছে কি না। এগুলো আন্তর্জাতিক মানের থাকলে তারা টুর্নামেন্ট খেলার জন্য অ্যাপ্রুভ করে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বড় অঙ্কের ব্যাপার এটা, যার জন্য আমরা এনএসসির কাছে আবেদন করেছিলাম। আমরা যা দেখলাম, ওনারা এটা নিয়ে এগোচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ হকি দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ মামুন উর রশিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনও টার্ফের যে অবস্থা আছে, তাতে এখানে কিন্তু ম্যাচ করা সম্ভব। ১৯-২০ এরকম হবে, ওমানে খেলতে গিয়েলিাম আমরা, সেখানে মাঝখানে যে মাঠটি ছিল, সেই মাঠগুলোর অবস্থা কিন্তু আমাদের মাঠের চেয়েও খারাপ। যারা এখানে আসে, কাজ করে, তাদের আরও বেশি ওরিয়েন্টেশন দরকার।’
নতুন টার্ফ প্রতিস্থাপনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করেছে ফেডারেশন। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস।
হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করে আসছে। এখন একটা এসটিমেট করবে। সেটা পরে আমরা অনুমোদন নেবো চেয়ারম্যান এবং কাছ থেকে।’
নতুন টার্ফ বসাতে খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা। এই পুরো অর্থই বহন করতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।





