বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মধ্যে যদি দ্বিধা বিভক্ত হয়, আন্দোলনকারীরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে, তারা আন্দোলন যারা করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি তারা লাভবান হবে। কাজেই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চলার পথে ভুল হতে পারে, হলে তা শোধরিয়ে নিতে হবে। এভাবেই এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মানুষের বিগত দিনের দুঃখ কষ্ট, মূল সমস্যা সন্ত্রাস। এগুলো কিন্তু মানুষ চায় না। মানুষ চায় সুন্দর ভাবে ও স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে। মানুষের এই চাহিদাকেই বড় মনে করে সেই চাহিদা পূরণ করতে হবে। অন্যায় দূরে রেখে কাজ করতে হবে। সকলে মিলে কাজ করতে হবে। আমিও এই ভালো কাজের অংশীদার হয়ে ভালো কাজে দায়িত্ব নিতে চাই। আমি টাঙ্গাইল সদরের মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য একজন কর্মী হয়ে সংসদ নির্বাচন করতে চাই। আপনারা আমার পাশে থাকবেন এবং দোয়া করবেন।’
সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমিও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করি তখন আমার উপর হামলা হয়েছিলো। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল শাখার কনভেনার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। অসংখ্য মানুষের সাথে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। আগামী দিনে বন্ধু বান্ধব নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য ভালো কিছু সার্ভিস দিতে পারি। একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে পারবো এবং সকলের সহযোগিতা পাবো।’
এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, নিহত মারুফের মা মোর্শেদা আক্তারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শহিদ পরিবার ও আহতরা এবং বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।





