সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ষষ্ঠ জনশুমারি অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৭ কোটি। আর দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। আর বর্তমানে সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৯ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে। যদিও বাস্তবে একজন ব্যক্তির সিম ব্যবহারের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। বর্তমান বিধিমালায় একজন ব্যক্তি ১৫টি সিম রাখা পারতো।
অনিবন্ধিত সিম বা অন্যের নামের সিম থেকে ভুয়া তথ্য, গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলে অনেকে। নির্বাচন সামনে রেখে অপতথ্য রোধে মোবাইল সিম ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত ২৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ অক্টোবরের পর একজন ব্যক্তি ১০টির বেশি সিম রাখতে পারবে না। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সিম সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানা হয়, অবৈধ হ্যান্ডসেটের আমদানির কারণে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি হয় অবৈধ ডিভাইস থেকে। এসব বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার এনইআইআর। এতে চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ডিভাইস শনাক্ত করা সহজ হবে।
এনইআইআর এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিক অনুমোদিত আইএমআই নম্বরকে এনআইডি ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত হতে হবে।





