শিশির ভেজা স্নিগ্ধ সকালে হালকা কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা সূর্য নতুন বউয়ের মতো ঘোমটা খুলে হেসে ওঠে পূর্ব দিগন্তে। গগণে ছড়িয়ে দেয় রক্তিম আভা। সেই আলোর বিচ্ছুরণে ঝিলিক দিয়ে ওঠে ধানশীষে দোল খাওয়া পতনপ্রবণ শিশির বিন্দু।
অপরূপ দৃশ্যে মোহনীয় হয়ে ওঠে নাটোরের গ্রামীণ জনপদ। মুখরিত হয় পাখির কিচিরমিচির শব্দে। মেঠোপথ ধরে সোনালি রোদ্দুর গায়ে মাখে গ্রামের মানুষ। প্রকৃতির পত্র-পল্লবে গুঞ্জরিত হয় শীতের নিমন্ত্রণ।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘খুব দ্রুতই শীত চলে আসবে। যেহেতু হেমন্ত চলে এসেছে তাই শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। ধান উঠবে, পিঠা পাওয়া যাবে, সেজন্য আমাদের কাছে শীত মানেই আনন্দের সময়।’
হেমন্তকে বলা হয় ঋতুর রানি। আল-বিলে মনের আনন্দে নাচানাচি করে কাঠ বিড়ালিও। বিল-ঝিলে ফোটে শাপলা-শালুক, আপন মনে উড়ে-ছুটে বেড়ায় বগ পাখির দল।
আরও পড়ুন:
ষড়ঋতুর এ পরিবর্তন বাঙালির জীবন-যাপনে তৈরি করে আলাদা ব্যঞ্জনা। সাত-সকালে লাঙল কাঁধে খেত-খামারে ছোটে কৃষক। গড়ে ওঠে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিন্ন ভিত।
স্থানীয়দের অন্য আরেকজন বলেন, ‘দুবলা ঘাসে শিশির আর ঠাণ্ডা বাতাস অনুভব করতে পারছি আমরা। ধান, অঘ্রাণের নদী, রাতের লক্ষ্মীপেঁচা আর ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে শীত আসার পূর্বের আভাস পাচ্ছি।’
উত্তরের কৃষিনির্ভর মানুষ। শীতের আগমনী বার্তায় খোলে আয়ের নতুন পথ। মেঠোপথে বেড়ে ওঠা খেজুর বৃক্ষে চলে রস উৎপাদনের প্রস্তুতি। চোখে চোখে ভাসে সমৃদ্ধির সোনালি স্বপ্ন।





