ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলের নৃশংসতার শিকার মানুষের সাহার্যে এবং যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে পরিচালিক ফ্লোটিলা বহরে অংশ নিয়েছেন দেশের স্বনামধন্য আলোকচিত্রী, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। তার এই সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার পোস্টে বলেন, ‘গাজাগামী ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমের পদক্ষেপ কেবল সংহতি প্রকাশ নয়, এটি বিবেকের গর্জন। বাংলাদেশের পতাকা বহন করে তিনি বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে এ দেশের মানুষ কখনো নিপীড়ন ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।’
বিএনপি শহিদুল আলম ও ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছে এবং সব সময় থাকবে বলেও অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
গাজায় তথ্য ও সংবাদ অবরোধ ভাঙার উদ্যোগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন শহিদুল আলম।
কনসায়েন্স হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এএফসি হলো ইসরাইলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি।
আরও পড়ুন:
এর আগে, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শহিদুল আলম গাজা ফ্লোটিলায় যোগ দেয়ার ঘোষণা দেন। যোগ দেয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় চলমান নৃশংসতার বিষয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের নীরবতা ভাঙতে আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি।
গ্লোবাল মিডিয়া ফ্লোটিলাতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে গণহত্যা চলছে। ইসরাইল ও আমেরিকা একসঙ্গে গাজায় মানুষ খুন করছে। তার সঙ্গে পাশ্চাত্যের অনেকগুলো দেশ যুক্ত, তারাও সহযোগিতা করছে এবং তারাও এতে অংশীদার।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন (রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর) ইতালির উদ্দেশে রওনা হন শহিদুল আলম। এরপর গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির ওট্রান্টো থেকে ফ্লোটিলার বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ যোগ দেন তিনি।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত তার যাত্রার আপডেট তথ্য ও সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা অব্যাহত রেখেছেন। তারই এই যাত্রা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত হয়েছে।





