শরতের শীতল হাওয়াতেও স্বস্তিহীন রাজধানীর কাঁচাবাজার

সবজি ও মাছের দাম বৃদ্ধি
সবজি ও মাছের দাম বৃদ্ধি | ছবি : সংগৃহীত
0

শরতের শীতল হাওয়াতেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে সাধারণ ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। সবজি, মাছ-মাংস—সব কিছুর দাম আগের তুলনায় বেশি, যা ক্রেতাদের জীবনকে করেছে দুর্বিষহ। আজ (শুক্রবার, ৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচা মরিচে দামে এখন আগুন। গতকাল ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকা বিক্রি হলেও আজ দাঁড়িয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। তবুও ক্রেতাদের চোখে তা অগ্নিশিখার মতোই।

যদিও কাঁচা মরিচের দাম গতকালের চেয়ে কিছুটা কমে আজ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, তবুও ক্রেতাদের কাছে এটি এখনো অনেক চড়া। অন্যান্য সবজির দামেও একই রকম ঊর্ধ্বগতি। টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ১৭০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ১৩০ টাকা, গোল বেগুন এক লাফে ৫০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সবজির মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন:

তুলনামূলক স্বস্তি শুধু লাউ আর পেঁপেতে। লাউ মিলছে ৫০ টাকায়, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকার ঘরে। তবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে-লাউ বাদ দিলে প্রায় কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে নেই।

আমিষ-প্রোটিনের বাজারেও চাপ কম নয়। ডিম ডজনপ্রতি ১৩০ টাকা। বয়লার মুরগি ১৯০, সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০, দেশি মুরগি ছুঁয়েছে ৬০০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত থাকলেও খাসি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০০ টাকায়।

আজ থেকে ইলিশ মাছ বেচাকেনা বন্ধ হওয়ায় এর দাম আরও বেড়েছে। সুযোগ বুঝে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা কেজিতে। অন্যান্য মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

ক্রেতারা বলছেন, সবজি, মাছ এবং মাংস—সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন পরিবারের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা মনে করেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে দাম কমতে পারে। তবে উৎসব-পরবর্তী চাহিদা এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিও বাজারের এ চড়া দামের জন্য দায়ী।

ইএ