শরতের বৃষ্টিতে তলিয়ে ঢাকা, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

জলাবদ্ধতায় নাকাল শ্রমজীবী মানুষ
জলাবদ্ধতায় নাকাল শ্রমজীবী মানুষ | ছবি: এখন টিভি
0

বর্ষা শেষে শরতের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকা শহর, ভাটা পড়েছে রাতে আধারে জীবন যুদ্ধে নামা শ্রমজীবী মানুষের রোজগারে। জলাবদ্ধতাও ফিরেছে তার পুরনো রূপে।

কারওয়ান বাজার থেকে পণ্য নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেন পঞ্চাশোর্ধ গিয়াস উদ্দিন। গত (মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে সে উদ্দেশেই ভ্যানের হাতল ধরে বেরিয়েছিলেন ঘর থেকে। তবে বর্ষা শেষে শরতের বৃষ্টি ধর্মঘট ডেকেছে তার রোজগারে।

ভ্যান চালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘অল্প বৃষ্টি হলে আমাদের আয় কম হয়। কাম কাজ করতে পারি না বৃষ্টির জন্য’।

শুধু এ গিয়াস উদ্দিন নয়, রাতের আধারে জীবন যুদ্ধে নামা অনেকের রোজগারের পথ থমকে গেছে ঝুম বৃষ্টিতে। জলাবদ্ধতাও ফিরেছে তার পুরনো রূপে। হাঁটু পানি জমেছে রাজধানীর বাইতুল মোকাররম, মতিঝিল, মিরপুর, নিউমার্কেট আজিমপুর, বাড্ডা, মালিবাগ, সচিবালয় এলাকায়সহ তেজগাঁও ও তার আশপাশের এলাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন:

পথচারীরা জানান, বৃষ্টিতে সড়কগুলো ডুবে যায় এটিই প্রধান সমস্যা। চলাচলের উপযোগী থাকেনা সড়কগুলো।

নগরবাসীর অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহর, তলিয়ে যায় সড়ক, ঘটে দুর্ঘটনা, ভাটা পড়ে রোজগারে। ব্যাহত হয় দৈনন্দিন চলাচল। আর এমন ভোগান্তির পিছনে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাই মূল কারণ, দাবি তাদের।

সিএনজি চালকেরা জানান, গাড়িগুলো তারা ঠিকমতো চালাতে পারেন না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয় না নিয়মিত ফলে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দখল হয়ে যাওয়া খাল ও জলাশয়, এবং দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে রাজধানীর জল নিষ্কাশনের সব পথ রুদ্ধ। নগরবাসী বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এ সমস্যা জিইয়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ শুধু পানিনিষ্কাশনের দায় সেরে দায়িত্ব শেষ করলেও, জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয় না। ফলে শীত গ্রীষ্ম কিংবা শরতেও নগর থাকে জল আতঙ্কে।

এফএস